কিভাবে বিসিএস ক্যাডার হওয়া যায়:
বর্তমানে সরকারি চাকরি একটি সোনার হরিণ । বাংলাদেশে প্রায় ১০ লক্ষ যুবক বেকার। এই ১০ লক্ষ যুবক প্রতিনিয়ত চাকরির জন্য পরিশ্রম করে যাচ্ছে। এদের মধ্যে তিন থেকে চার পার্সেন্ট ছেলে চাকরি পেতে সক্ষম হচ্ছে। আসলে বর্তমানে চাকরি পাওয়াটা খুবই কঠিন। একটা কথা ছিল টাকা থাকলে চাকরি হয় , সেই টেন্ডেন্সি টা এখন মানুষের মাঝে আর নেই। এখন একটাই কথা মেধা আপনাকে চাকরি এনে দিতে পারে। কিন্তু বর্তমানে একটা বিষয় দেখা যাচ্ছে সকল মেধাবীরা চাকরি পাচ্ছে না। শুধুমাত্র মেধার উপর ভরসা করলেই হবে না কিছু কৌশল প্রয়োগ করতে হবে। তবে এটা সত্য যে যারা প্রকৃত অধ্যবসায়ী তারা সকলেই কোনো না কোনো চাকরি পাচ্ছে। আমি চাকরি পাওয়ার ক্ষেত্রে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় আজ আলোচনা করব।
আমরা যে ভুলটা করি মনে করি যে, একদম একাডেমিক লেখাপড়া শেষ করে চাকরি বই পড়বো। এটা আমাদের জন্য সবচেয়ে ভয়ানক একটা সিদ্ধান্ত। এই ধারণার কারণে শত শত ছাত্র ছাত্রী চাকরি পাচ্ছে না। এই চিন্তা মন থেকে দূর করুন। আপনি যে অবস্থায় আছেন এখনই পড়া শুরু করুন। ফার্স্ট ইয়ার থাকলে গুছিয়ে পড়ার সুযোগ পাবেন। মনে রাখবেন চাকরির পড়া কোন সামান্য বিষয় নয়। এটা একটি বৃহৎ বিষয়। বাজারে চাকরির যত বই আছে সকল বই পড়ে শেষ করতে হবে। তবেই আপনি বিসিএস ক্যাডার হবেন। আমি জেলা প্রশাসন ঝিনাইদহে চাকরি করি। আমার পদবী উপ প্রশাসনিক কর্মকর্তা। আমি ক্যাডার হতে পারিনি। তবে কিভাবে ক্যাডার হতে হয় সে বিষয়টা আমার জানা আছে। কারন আমাদের প্রশাসনে এডমিন ক্যাডাররা চাকরি করে। আমি সব সময় তাদের সাথে থাকি। তাদের লেখাপড়ার বিষয়ে সর্বদা আমার সাথে শেয়ার করে। সেখান থেকে আমি এগুলো শিখার চেষ্টা করেছি।
কিভাবে বিসিএস প্রস্তুতির জন্য বই পড়তে হবে:
কিভাবে পড়বে: এটা একটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন। কারণ আপনি যখন থেকে চাকরি লেখাপড়া শুরু করছেন। তখন আপনার কাছে সবকিছু নতুন। তাহলে আপনাকে সবকিছু পড়ে যেতে হবে। এত বড় একটা বিরাট পড়াশোনা কিভাবে করলে আপনি সহজে আয়ত্ত করতে পারবেন এটা আপনাকে জানতে হবে। প্রথমত আমি অনার্স ফার্স্ট ইয়ারে যারা পড়ে তাদের কথা বলি। পড়াশোনা অনার্সে উঠার পর থেকেই শুরু করতে হবে। আমি মাস্টার্স শেষে লেখাপড়া করব এমন চিন্তা করলে হয়তো চাকরির বয়স শেষ হয়ে যাবে, কিন্তু আপনার চাকরি হবে না। তবে সব ক্ষেত্রেই ব্যতিক্রম থাকতে পারে। ফার্স্ট ইয়ারে ভর্তি হওয়ার পর প্রতিদিন কমপক্ষে তিন ঘন্টা চাকরির পড়া পড়বে। যারা ক্যাডার হতে চান তাদেরকে সাত- আট ঘন্টা পড়তে হবে। আপনার সারাদিনের সময় ২৪ ঘণ্টাকে কয়েকটি অংশে ভাগ করে নেবেন। আমরা জানি যে প্রথমে অনার্সে ভর্তি হওয়ার পর পড়ার প্রতি প্রবণতা অনেক কমে যায়। তখন অধিকাংশ সময় বিশ্রাম অথবা আরাম-আয়েশে কাটে। এই সময়টাকে আপনাকে ব্যবহার করতে হবে।
বিসিএস প্রস্তুতির জন্য যে বইগুলো বইতে হবে:
এবার বইয়ের বিষয়ে আসি। আপনি কি কি বই পড়বেন। বই পড়াটা নির্ভর করবে আপনার চাকরির প্রত্যাশার উপর। আমি প্রথমে বিসিএস এর বিষয়ে আলোচনা করব। এক্ষেত্রে আপনাকে আমি প্রাথমিক অবস্থায় জর্জ সিরিজের এমপিথ্রি এর বই সাজেশন করব। এই সিরিজে আপনি টোটাল এক সেট বই পাবেন। বাংলা, অংক, ইংরেজি, সাধারণ জ্ঞান বাংলাদেশ, সাধারণ জ্ঞান আন্তর্জাতিক, কম্পিউটার এবং মানসিক দক্ষতা ও নৈতিকতা বই কিনে নিবেন। উল্লেখ্য যে অবশ্যই আপনি জর্জ সিরিজের mp3 বইগুলা কিনবেন। আমি নিজেই বইগুলো পড়েছি। এগুলা তথ্য মোটামুটি সঠিক এবং পড়তে আপনার ভালো লাগবে। তবে হ্যাঁ এটা আপনার প্রাথমিক প্রস্তুতি। মনে রাখতে হবে বিসিএস ক্যাডার হতে হলে বাজারের সকল চাকরির বই পড়ে শেষ করতে হয়।
দয়া করে সর্বশেষ ভারসনের বই কিনবেন
- Georges বাংলা ভাষা ও সাহিত্য / বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা (লেখক-ড. সৌমিত্র শেখর)
- Georges English review
- শাহীনস Short cut and Broad math review/ Georges math review
- Georges Mp3 সাধারন জ্ঞান বাংলাদেশ
- Georges Mp3 সাধারন জ্ঞান আন্তর্জার্তিক
- Georges দৈনন্দিন বিজ্ঞান
- Georges Mp3 কম্পিউটার ও তথ্য প্রযুক্তি
- Georges mp3 ভূগোল, পরিবেশ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা
- Georges Mp3 সাধারন জ্ঞান বাংলাদেশ
- Georges Mp3 সাধারন জ্ঞান আন্তর্জার্তিক
- Georges দৈনন্দিন বিজ্ঞান
- Georges Mp3 কম্পিউটার ও তথ্য প্রযুক্তি
- Georges mp3 ভূগোল, পরিবেশ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা
- ওরাকলের মানসিক দক্ষতা
- Proffesor job solution latest version.
- মাসিক কারেন্ট অ্যাফেয়ার্স
Pdf format of book list for bcs preparation:
How to read english book for BCS preparation:
প্রতিদিন সকালে উঠে আপনি ইংরেজি বইয়ের সাহিত্যের অংশগুলো একবার করে পড়বেন। সকালে আপনার মাথা ফ্রেশ থাকে। এ সময় এই জটিল বিষয়গুলো পড়ে আয়ত্ত করার চেষ্টা করবেন। পুরো সাহিত্যের বিষয়টি কয়েকটি ভাগে ভাগ করে নিবেন। যাহাতে প্রতি সপ্তাহে পুরোটা একবার পড়া হয়ে যায়। এভাবে প্রতিদিন সকালে ইংরেজি সাহিত্যের অংশটুকু পড়বেন। তাছাড়া অন্যান্য বই পড়তে পড়তে আপনাকে যে বিষয়গুলো জটিল লাগে সেগুলো নির্বাচন করে রাখবেন এবং এই সময়টা সেই বইগুলো পড়ার চেষ্টা করবেন। দেখবেন আপনি সহজেই সবকিছু আয়ত্ত করে ফেলেছেন।
কিভাবে সাধারণ জ্ঞান বই পড়লে মনে রাখতে পারবে:
সাধারণ জ্ঞান বাংলাদেশ বিষয়: এই বইটি পড়তে সকলের খুব ভালো লাগে। যে সময় আপনার বিরক্তি লাগে বা বই পড়তে ইচ্ছা লাগে না, তখন পড়বেন এই বই। একটি কাজ করবেন, প্রথমে একটা বই টার্গেট করে এক সপ্তাহের মধ্যে শেষ করে ফেলতে হবে। জানি প্রথমবার আপনার সবকিছু মনে থাকবে না। পরবর্তীতে যখন আপনি পড়বেন তখন আপনার সবকিছু মনে চলে আসবে। আমি যখন বিসিএস এর প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম তখন প্রতিদিন একটি করে বই শেষ করতাম। প্রথমবার আপনাকে সময় লাগবে। দুই তিনবার পড়ার পর তখন আপনাকে পুরো বইটা পড়া লাগবে না যে টপিক্স গুলা আপনার কাছে মনে রাখা কঠিন হয় সেগুলা মার্ক করে রাখবেন। পরবর্তীতে শুধু ওইগুলাই পড়লে হবে।
জটিল বিষসমূহ কোন পদ্ধতিতে মনে রাখবে:
আর কিছু জটিল বিষয় রয়েছে যেমন বিভিন্ন দেশের রাজধানী এবং মুদ্রার নাম এগুলো প্রতিদিন পড়ার চেষ্টা করবেন। একবারে মুখস্ত করতে হবে না। প্রতিদিন পড়লে আপনার কবে মুখস্ত হয়ে গেছে নিজেও বুঝতে পারবেন না। মাঝে মাঝে লেখার চেষ্টা করবেন। যে বিষয়গুলো একদমই মনে থাকছে না সেগুলো লিখবেন। কিছু প্রশ্ন আছে কনফিউশন লাগে। উত্তর করার সময় এগুলো নিজের মত করে কিছু সূত্র বের করে নিবেন। একটি থেকে আরেকটি আলাদা করবে। এমন একটি প্রশ্ন
1. পদ্মা কোথায় মেঘনার সাথে মিলিত হয়েছে?
- চাঁদপুর
- ফরিদপুর
এটির উত্তর আপনি নিশ্চয় জানেন যে চাঁদপুর। প্রথমে আমার এটা মনে থাকতো না আমি এটাকে মনে রাখার জন্য মেঘনাকে মেঘ মনে করতাম। মেঘ থাকে আকাশে আর চাঁদ থাকে আকাশে। চাঁদ থেকে চাঁদপুর অর্থাৎ এই প্রশ্নের উত্তর হবে চাঁদপুর। আমি এভাবে অনেক প্রশ্নের উত্তর মনে রেখেছিলাম, যদিও এখন মনে নাই। নিয়মিত চর্চা করতে হয়।
বই যেটা ধরবেন সেটি শেষ করে উঠবেন। প্রতিটা লাইন পড়ার চেষ্টা করবেন। একবার শেষ না হলে পরবর্তীতে আর শেষ হবে না। সব সময় নিজেকে বোঝাবেন যে আমি পড়লেই পরীক্ষায় ভালো করব। আর পরীক্ষায় ভালো করলে ভালো চাকরি পাব। আমার জীবনটা সুন্দর হয়ে যাবে।
কিভাবে ইংরেজি ব্যাকরণ বই পড়বে:
ইংরেজি বিষয়টা পড়ার সময় সতর্ক হতে হবে। সময় থাকলে আপনি ষষ্ট সপ্তম অষ্টম এবং নবম শ্রেণীর গ্রামার অংশটুকু একবার পড়ে নিতে পারেন। মনে রাখবেন যে আপনি শুধু বইয়ের একটি অংশ পড়বেন না। যেদিন যে বইটা পড়বেন সেই ইংরেজি বইয়ের সম্পূর্ণ গ্রামারটাই পড়ে নিবেন। ইংরেজি গ্রামার এমন যে একটি অংশ অন্যের সাথে ওতপ্রোত ভাবে জড়িত। একটি অংশ বুঝতে হলে আরেকটি বিষয় জানা লাগে। এভাবে আপনি ইংরেজি গ্রামার অংশে ভালো করতে পারবেন। এছাড়া ভোকাবুলারি, অপজিট ওয়ার্ড, phrase and idiom ইত্যাদি জটিল বিষয় রয়েছে। এগুলো নিয়মিত পড়ার চেষ্টা করবেন। মনে রাখবেন বিসিএস ক্যাডার হতে হলে আপনাকে কোন বিষয়ে দুর্বলতা থাকলে হবে না। এমনভাবে লেখাপড়া করতে হবে যে যে কোন বিষয়ে আপনি সহজে ইংরেজিতে নিজের মত লিখতে পারবেন।
কিভাবে বিসিএস প্রস্তুতির জন্য অংক বিষয়টি আয়ত্বে করবে:
অংক বিষয়ে অনেকের দুর্বলতা রয়েছে। যদি আপনি অংকে ভালো না হয়ে থাকেন, প্রথমে নিজে চেষ্টা করুন। না হলে আপনি একটি প্রাইভেট পড়তে পারেন। শুধুমাত্র অংক পড়বেন। এছাড়া জ্বর্জ সিরিজের mp3 বইতে অঙ্গের সমাধান দেয়া থাকে । প্রথমে আপনি নিজে চেষ্টা করে দেখতে পারেন । যদি বুঝতে না পারেন তবে পরবর্তীতে একটা স্যারের কাছে প্রাইভেট পড়তে পারেন। তবে অংক খুবই একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয় এ বিষয়ে সহজে নম্বর বেশি অর্জন করা যায়। এজন্য অংকের প্রতি কখনো অবহেলা করা যাবে না। জ্যামিতি করার ক্ষেত্রে খুবই গুরুত্ব দিতে হবে। জ্যামিতির প্রতিটা অংশ ভালো করে বুঝতে হবে । জ্যামিতি থেকে এমসিকিউ প্রশ্ন আসে। অনেক ক্ষেত্রে ত্রিভুজ, চতুর্ভুজ এর ক্ষেত্রফল নির্ণয় করতে বলে। এসব কোন অংশ বাদ দেওয়া যাবে না । সকল বিষয়ে ভাল ধারণা রাখার চেষ্টা করতে হবে।
সাধারণ জ্ঞান আন্তর্জাতিক মনে রাখার ও পড়ার নিয়ম:
আন্তর্জাতিক বিষয় কোন অবহেলা করা যাবে না । এটি কিন্তু মোটামুটি বেশ জটিল একটা বিষয়। এটা নিয়মিত আয়ত্ত করার চেষ্টা করতে হবে অর্থাৎ যখন ধরবেন বইটি সম্পূর্ণ শেষ করে উঠবেন। বিভিন্ন দেশের রাজধানী, মুদ্রার নাম, বিভিন্ন সংস্থার নাম, এদের সদর দপ্তর ইত্যাদি বেশ মনে রাখা কঠিন । এগুলো নিয়মিত পড়ার চেষ্টা করতে হবে।
সকল অংশ ভালো করে বুঝে পড়ার চেষ্টা করতে হবে। যাহাতে প্রিলিতে টিকার পর আপনার রিটেন পরীক্ষায় কোন সমস্যা না হয়। এমন ভাবে পড়বেন যাতে ওই বিষয়ে কিছু লিখতে পারেন ।বিসিএস লিখিত পরীক্ষায় কখনো কমন আসে না। প্রশ্ন এমন ভাবে আসবে যে আপনি বিষয়টা জানেন। তবে আপনার মুখস্ত নেই সে ক্ষেত্রে আপনাকে আপনার জ্ঞানের উপর নির্ভর করে লিখতে হবে। জটিল বিষয় নয় আপনি যখন ফিলি পড়বেন তখন গুছিয়ে পড়লেই এ ধরনের সমস্যার সমাধান করা সহজ আমি আজ বিসিএস বিষয়ে আলোচনা করলাম এর পরবর্তীতে যারা বিসিএস ক্যাডার হতে চান না কিন্তু অল্প সময়ে চাকরি পেতে চান তাদের বিষয়ে আমি আলোচনা করব । আশা করি আমার আলোচনায় অনুসরণ করলে আপনি সহজে চাকরি পাবেন।
বিসিএস প্রিমিনারির সাতে রিটেন প্রস্তুতির কৌশল:
ধরলাম যে আপনার mp3 সিরিজের সকল বই পড়া কমপ্লিট করেছেন। এখন আপনি নিয়মিত সকল সাবজেক্ট রিভাইস করছেন। এখন আপনি কি করবেন? এবার আপনি বাজার থেকে প্রফেসর জব সল্যুশন বইটি ক্রয় করবেন । প্রথমে একটি একটি করে সকল বিসিএস প্রশ্ন সম্পূর্ণ সমাধান করবেন। প্রতিটি বিসিএস এর সকল বিষয় বুঝে সুন্দর করে আয়ত্ত করবেন। পূর্ববর্তী বিসিএস এর প্রশ্নগুলোর সমাধান করা মানে পরীক্ষার হলে ৮০ মার্কের কমন পাওয়া। এজন্য এমনভাবে পড়তে হবে যে পরীক্ষার হলে কোনরকম কনফিউজড ছাড়া উত্তরপত্র ভরাট করা যায়। প্রথমে আপনার কাছে প্রফেসর জব সলিউশন কঠিন লাগতে পারে। প্রথম থেকে শুরু করবেন এবং যে প্রশ্নগুলো কঠিন লাগবে বা মনে রাখতে পারছেন না সেগুলো লাল কালি দিয়ে চিহ্নিত করে রাখবেন। পরবর্তীতে শুধুমাত্র এই চিহ্নিত করা প্রশ্নগুলোই পড়বেন ।বিসিএস সম্পূর্ণ বিগত সালের প্রশ্ন আয়ত্ত হয়ে গেলে অন্যান্য প্রথম শ্রেণীর যে সকল পরীক্ষার প্রশ্ন আছে তা পড়বেন। এভাবে পড়তে পড়তে একসময় এমন হবে পুরো বইটি আপনার আয়ত্তে চলে এসেছে। পরবর্তীতে আপনাকে সম্পূর্ণ বই পড়তে হবে না শুধুমাত্র যে প্রশ্নগুলো আপনার কাছে জটিল মনে হয় যা লাল কালি দিয়ে মার করেছেন শুধুমাত্র এগুলা পড়বেন।
বিসিএস প্রস্তুতির বিষয়ে উপসংহার:
মনে রাখবেন আপনার স্বপ্ন বিসিএস ক্যাডার হওয়া। এজন্য আপনাকে বাজারের সকল চাকরির বই পড়ে শেষ করতে হবে । একবার প্রিপারেশন হয়ে গেলে তারপর দেখবেন যে কোন বই আপনি একদিনে শেষ করতে পেরেছেন । যেকোনো বিষয়ে আপনার কাছে খুবই সহজ লাগবে। তবে অঙ্গ এবং ইংরেজির ক্ষেত্রে সর্বদা বিশেষ গুরুত্ব দিবেন। আপনার রুটিনের সবচেয়ে বড় অংশ ধরে অংক ইংরেজি পড়বেন। ইংলিশে অনেক আইটেম আছে যার রেগুলার না বললে আয়ত্ত করা যায় না । সেগুলোর রেগুলার পড়ার চেষ্টা করবেন । এভাবে দেখবেন একদিন আপনি বিসিএস প্রিলিতে টিকে গিয়েছেন । সকল বিষয় বিস্তারিতভাবে করার চেষ্টা করবেন। তাহলে আপনার বিসিএস এর রিটেন পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি হয়ে যাবে। পরীক্ষার জন্য বেশি সময় পাওয়া যায় না এজন্য সর্বদা বুঝে পড়লে রিটেন পরীক্ষার প্রায় 80 শতাংশ প্রস্তুতি হয়ে যায়।